Saturday, May 31, 2025

❝সমাজ❞


সমাজ কখনো জিজ্ঞেস করে না—
“তুমি কেন কাঁদছো?”
তারা কেবল খুঁজে বেড়ায়
তোমার কান্নার আড়ালে লুকোনো গল্প।

তুমি যদি হাসো— সন্দেহ করে,
তুমি যদি ভেঙে পড়ো— বিচার করে।
তুমি যদি একা থাকো— ঠাট্টা করে,
আর ভিড়ে থাকলে বলে— "নাটক করো"।

তোমার সাফল্য তাদের চোখে কাঁটা,
তোমার ব্যর্থতা— তাদের মুখে হাসি।
তারা পাশে থাকে না কখনো,
তবুও তোমার জীবনই তাদের আলোচনার মূল বিষয়।

তোমার নীরবতা তাদের পছন্দ নয়,
তোমার ভাষাও তারা সহ্য করতে পারে না।
তারা চায়— তুমি সব সয়ে যাও,
কিন্তু কখনো মুখ না খোলো।

সমাজ বলে, শোনায়, শেখায়—
কিন্তু সত্যিকারের বোঝে না।

                         ✍️ মনোয়ার হোসেন (মুন)

Monday, May 19, 2025

প্রিয়া, তুমি আমার হলে না

                     ✒️ মনোয়ার হোসেন ( মুন )

চেয়েছিলাম একজন মানুষ,
যে হতো আমার বিশ্বাস।
নিজের থেকেও বেশি যাকে,
দিতাম শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।

এক যুগ ধরে ছিলাম অপেক্ষায়,
ভেবেছিলাম আসবে তুমি একদিন।
শুনেছিলাম কষ্টের ফল মেলে,
কই, আমার কষ্ট তো গেলো বিনা প্রাপ্তিতে।

তোমাকে ভাবতাম আপন করে,
রাখতাম হৃদয়ের মাঝে।
আজ বুঝলাম, তুমি ছিলে,
তবে কখনোই ছিলে না আমার।

তাতে কি আসে যায় প্রিয়া,
ভালো থেকো যারই হও।
তোমার মুখখানি সযত্নে রাখবো,
আমার জীবনের পাতায় চিরকাল।



সারাংশ:
কবিতায় কবি একজন প্রিয় মানুষের প্রতি নিজের গভীর ভালোবাসা ও দীর্ঘ প্রতীক্ষার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি আশা করেছিলেন, সেই মানুষটি একদিন তার জীবনে আসবে এবং হবেন তার বিশ্বাসের প্রতীক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ভালোবাসা পূর্ণতা পায়নি। কবি বুঝতে পারেন, প্রিয় মানুষটি থাকলেও তিনি কখনোই কবির হয়ে ওঠেননি। তবুও কবি তাকে শুভকামনা জানিয়ে বলেন, তার মুখখানি তিনি আজীবন হৃদয়ে ধারণ করে রাখবেন।


চোখের জলে লেখা গল্প

                       ✒️ মনোয়ার হোসেন (মুন)

যে স্বপ্ন ছিল মনে প্রাণে,
রাখতাম লুকিয়ে গোপন টানে,
একযুগ  কেটেছে শুধু
তারি ছবি আঁকতাম মনে।

হঠাৎ একদিন মেসেঞ্জারে
চললো কথা ক’টি স্নেহ ভরে,
মিষ্টি ভাষায় চাইল সে নম্বর,
মাথাটা গেল ঘুরে হঠাৎ করে।

তারপর শুরু অবহেলার খেলা,
বদলে গেল চেনা চেহারা,
রুঢ় ব্যবহার, বিষাক্ত বাণী
ফিকে করল সব রঙিন সোনা।

তবু একদিন হৃদয় বুঝে গেল,
ভালোবাসা শুধুই ছিল একলা,
মুছে দিলাম আমি সেই গল্প
চোখের জলে লেখা বর্ণমালা।

আর কখনো ডাকবো না রে
সেই ভুল ভালোবাসার পাখি,
যে হাওয়াতেই হারায় বাসা
সুখেই থাকিস… থাকিস ভালোই থাকি।




সারাংশ:
         এই কবিতায় কবি একজন একতরফা প্রেমিকের ব্যথা ও হৃদয়ের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। দীর্ঘ একযুগ ধরে একজনকে চুপিচুপি ভালোবেসে আসছিলেন কবি। হঠাৎ একদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা শুরু হলে সেই স্বপ্ন যেন বাস্তব হতে থাকে। কিন্তু কিছুদিন পর প্রিয়জনের আচরণ পাল্টে যায়—সে অবহেলা করে, কটুকথা বলে এবং কবির ভালোবাসার কোনো গুরুত্ব দেয় না। শেষমেশ কবি বুঝে যান, এই ভালোবাসা একতরফা এবং ভূল ছিল। তিনি সেই গল্প ভুলে যান এবং তাকে আর কখনো না ডাকবার প্রতিজ্ঞা করেন। কবিতার শেষ লাইনে কবি প্রিয়জনকে মনের গভীর থেকে বিদায় জানিয়ে শুভকামনা জানান।



শব্দ ও অর্থ:

স্বপ্ন – কল্পনা, আকাঙ্ক্ষা, হৃদয়ের চাওয়া
লুকিয়ে – গোপনে, আড়ালে
গোপন টানে – অজানা এক অন্তর্নিহিত ভালোবাসার আকর্ষণে
মেসেঞ্জারে – মেসেজ পাঠানোর অ্যাপ (যেমন: Facebook Messenger)
রুঢ় – কঠোর নিষ্ঠুর নির্মম
স্নেহ ভরে – ভালোবাসা ও মমতায়
মিষ্টি ভাষা – কোমল ও আকর্ষণীয় কথা
নম্বর – ফোন নম্বর
মাথাটা গেল ঘুরে – হতবাক হওয়া বা হঠাৎ আবেগে ভেসে যাওয়া
অবহেলা – অবজ্ঞা, গুরুত্ব না দেওয়া
রুঢ় ব্যবহার – কঠোর ও অসৌজন্যমূলক আচরণ
বিষাক্ত বাণী – কষ্টদায়ক বা অপমানজনক কথা
ফিকে করল – ম্লান করে দিল, রঙ হারিয়ে ফেলল
রঙিন সোনা – স্বপ্নময় সুন্দর স্মৃতি
হৃদয় বুঝে গেল – মন বুঝে ফেলল, উপলব্ধি করল
একলা ভালোবাসা – একতরফা প্রেম, যার কোনো প্রতিফলন নেই
মুছে দিলাম – ভুলে গেলাম, মনের মধ্য থেকে সরিয়ে দিলাম
বর্ণমালা – অক্ষর বা লেখা
চোখের জলে লেখা – কান্নায় ভেজা স্মৃতিময় লেখা
ভুল ভালোবাসার পাখি – প্রতারক ভালোবাসা, যে প্রেম টিকে থাকেনি
হাওয়াতেই হারায় বাসা – স্থির না থাকা, অল্পতেই ভেঙে যাওয়া
সুখেই থাকিস – তুমি ভালো থাকো
ভালোই থাকি – শান্তিতে থাকো, ভালো থাকো

In process

কষ্টের পথচলা

                            ✍︎ মনোৱার হোসেন ( মুন ) জীবনে কিছুই আমি পাইনি, কেবল কষ্ট আর টেনশন পেয়েছি, স্বপ্নগুলো ছিল যা সুন্দর, তবে জীবনে কে...