----- মনোয়ার হোসেন ( মুন )
এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, জানো?
ভালোবাসা ছিল আমার জীবনের অঙ্গ,
কিন্তু আজ সেই জীবনের সমুদ্রে আমি মৃত।
ভেবেছিলাম, আমাদের সম্পর্কটা,
উচ্ছল, উদ্দাম, বেপরোয়া।
দুটি ঝর্ণাধারা মিশে এক নদী হয়,
সেই নদী ছিল “ভালোবাসা”।
বড্ড ভুল ভাবতাম, জানো?
আমাদের নদীটি আজ স্রোতহীন,
শ্যাওলা আর কচুরিপানায় ভরা।
ভালোবাসার ময়ূরপঙ্খী আর উড়ে না,
কামনার ঢেউ আজ আর জাগে না।
শর্তের বেড়াজালে বন্দী ভালোবাসা,
কালো অমানিশার আঁধারে চেপে ধরে আমার কণ্ঠ।
চিৎকার করে বলতে যাই, “ভালোবাসি তোমায়!”
তখনই শর্তের কালো রুমালে থামিয়ে দেয় আমাকে।
চুপি চুপি বলি,
“ভয় হয় জানো?”
একটা কালো হাত আমার মুখ চেপে ধরে,
বড় আদুরে গলায় বলতে চাই,
“একটু আদর করবে? ভালোবাসবে আমায়?”
এখন আমি নিজেকে গুচিয়ে রাখি,
ধীরে ধীরে শামুকখোল আমার চারপাশে জমছে।
শেষরাতে ঝরে যাওয়া বকুলের মতো,
আরেকটি ব্যর্থ রাত চলে যায়।
আসলেই জানো, আমি কখনো
ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে পারিনি।
তাই, আজ ব্যর্থ প্রেমিক আমি,
শুধু বুঝেছি, ভালোবাসা কতটা গভীর হলে,
তাকে প্রেম বলা যায়!
মূলভাব:- কবিতাটি একজন ব্যর্থ প্রেমিকের দুঃখ ও অভিজ্ঞতার প্রকাশ, যার ভালোবাসা শর্ত ও বাঁধনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কবি প্রথমে ভালোবাসাকে জীবনের অঙ্গ হিসেবে মনে করলেও, সময়ের সাথে সেই ভালোবাসা স্রোতহীন, শ্বাসরুদ্ধকর এবং শর্তসাপেক্ষ হয়ে ওঠে। তিনি অনুভব করেন যে, তার ভালোবাসা আর আগের মতো মুক্ত, উদ্দাম বা সুন্দর নেই, বরং তা এক ধরনের জটিলতা ও অবাস্তবতার শিকার হয়েছে। কবির অন্তরাত্মা জানায়, প্রেমের প্রকৃত গভীরতা তিনি কখনোই বুঝতে পারেননি, এবং এখন তিনি বুঝতে শিখেছেন যে, ভালোবাসা ততটাই গভীর হতে হয়, যাতে সেটিকে সত্যিকার প্রেম বলা যায়।
No comments:
Post a Comment