Sunday, December 15, 2024

ব্যর্থ ভালোবাসা

ব্যর্থ ভালোবাসা

            ----- মনোয়ার হোসেন ( মুন )



এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, জানো?

ভালোবাসা ছিল আমার জীবনের অঙ্গ,

কিন্তু আজ সেই জীবনের সমুদ্রে আমি মৃত।


ভেবেছিলাম, আমাদের সম্পর্কটা,

উচ্ছল, উদ্দাম, বেপরোয়া।

দুটি ঝর্ণাধারা মিশে এক নদী হয়,

সেই নদী ছিল “ভালোবাসা”।


বড্ড ভুল ভাবতাম, জানো?

আমাদের নদীটি আজ স্রোতহীন,

শ্যাওলা আর কচুরিপানায় ভরা।

ভালোবাসার ময়ূরপঙ্খী আর উড়ে না,

কামনার ঢেউ আজ আর জাগে না।


শর্তের বেড়াজালে বন্দী ভালোবাসা,

কালো অমানিশার আঁধারে চেপে ধরে আমার কণ্ঠ।

চিৎকার করে বলতে যাই, “ভালোবাসি তোমায়!”

তখনই শর্তের কালো রুমালে থামিয়ে দেয় আমাকে।


চুপি চুপি বলি,

“ভয় হয় জানো?”

একটা কালো হাত আমার মুখ চেপে ধরে,

বড় আদুরে গলায় বলতে চাই,

“একটু আদর করবে? ভালোবাসবে আমায়?”


এখন আমি নিজেকে গুচিয়ে রাখি,

ধীরে ধীরে শামুকখোল আমার চারপাশে জমছে।

শেষরাতে ঝরে যাওয়া বকুলের মতো,

আরেকটি ব্যর্থ রাত চলে যায়।


আসলেই জানো, আমি কখনো

ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে পারিনি।

তাই, আজ ব্যর্থ প্রেমিক আমি,

শুধু বুঝেছি, ভালোবাসা কতটা গভীর হলে,

তাকে প্রেম বলা যায়!



মূলভাব:- কবিতাটি একজন ব্যর্থ প্রেমিকের দুঃখ ও অভিজ্ঞতার প্রকাশ, যার ভালোবাসা শর্ত ও বাঁধনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কবি প্রথমে ভালোবাসাকে জীবনের অঙ্গ হিসেবে মনে করলেও, সময়ের সাথে সেই ভালোবাসা স্রোতহীন, শ্বাসরুদ্ধকর এবং শর্তসাপেক্ষ হয়ে ওঠে। তিনি অনুভব করেন যে, তার ভালোবাসা আর আগের মতো মুক্ত, উদ্দাম বা সুন্দর নেই, বরং তা এক ধরনের জটিলতা ও অবাস্তবতার শিকার হয়েছে। কবির অন্তরাত্মা জানায়, প্রেমের প্রকৃত গভীরতা তিনি কখনোই বুঝতে পারেননি, এবং এখন তিনি বুঝতে শিখেছেন যে, ভালোবাসা ততটাই গভীর হতে হয়, যাতে সেটিকে সত্যিকার প্রেম বলা যায়।


আজও মনে পড়ে

আজও মনে পড়ে

                    ✍️ মনোয়ার হোসেন (মুন)

আজও মনে পড়ে,
তোমার হাসির মিষ্টি সুর,
যতবারই ভেবেছি,
ততবারই যেন তুমি ফিরে আসো।

মনে পড়ে তোমার কথা,
যতটা ভেবেছি, ততটাই ব্যথা,
তোমার অভাব অনুভব করি,
হৃদয়ে যেন এক খালি ঘর।

তোমার চোখের সেই নীরব ভাষা,
আজও আমার মনের গভীরে বাজে।
তোমার ছোঁয়া, তোমার কথা,
মনে পড়ে আজও প্রতিটি ক্ষণে।

যদিও তুমি দূরে,
তবুও আমার কাছে আছো,
বিচ্ছেদে তুমি হারালে,
তবে স্মৃতিতে তুমি রয়েছো।

আজও মনে পড়ে,
তোমার প্রতিটি হাসি,
তোমার উপস্থিতি,
আজও বুকের ভেতর আঁকা।

তোমার অভাবে দুঃখ,
কিন্তু তোমার স্মৃতির আলো,
আজও মনে পড়ে,
তোমার ভালোবাসার কাহিনী।



 মূলভাব :- —এটি একজন প্রিয় মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং তার অভাবে অনুভূত শূন্যতা ও ব্যথা প্রকাশ করে। কবির মনের গভীরে সেই প্রিয়জনের হাসি, কথা, ছোঁয়া এবং স্মৃতি এখনও জীবন্ত, যা তাকে কখনওই সম্পূর্ণভাবে হারাতে দেয় না। যদিও তারা শারীরিকভাবে দূরে চলে গেছে, তবুও সেই ভালোবাসার স্মৃতিগুলি তার হৃদয়ে চিরকাল বিরাজমান থাকে, যা তাকে একদিকে দুঃখ দেয়, অন্যদিকে তার অস্তিত্বের অভ্যন্তরে আলো ছড়ায়।

Saturday, August 31, 2024

শিক্ষক দিবস (১.বাংলা ২.অসমীয়া)

১.বাংলা

শিক্ষক দিবস       

                         কলমে:-মনোয়ার হোসেন (মুন)

জ্ঞানদ্বীপের আঙ্গিনায়, শিক্ষক দিবসে,  
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের, সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।  
তোমাদের স্নেহে, তোমাদের জ্ঞানবাণীতে,  
প্রকাশিত আমাদের ভবিষ্যৎ, শিখনরথে চড়াই।

সকাল বেলা শ্রেণিকক্ষে, আলোয় উদ্ভাসিত,  
তোমরা দিয়েছো শিক্ষা, সততা, সঠিক পথ।  
জ্ঞানদ্বীপের প্রতিটি কোণে, ছড়িয়ে আছে তোমার,  
সৃষ্টির তীক্ষ্ণ আলো, স্বপ্ন গড়ার হাত।

বুকের স্নেহে আদর, মেধার উজ্জ্বল দিশা,  
শিক্ষার পথে তোমার, সর্বদা সাথী, বন্ধু।  
তোমাদের ত্যাগ ও মমতা, স্মরণ রাখব চিরকাল,  
শিক্ষক দিবসে, তোমাদের অমৃত প্রণাম জানাই।

জ্ঞানদ্বীপের গর্বে, চিরকাল সৃজনশীল,  
তোমাদের শিক্ষায় সাজানো, আলোর মঞ্চ।  
শিক্ষক দিবসে, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা,  
জ্ঞানদ্বীপ জাতীয় বিদ্যালয়, তোমাদের সম্মানে।




২.অসমীয়া

শিক্ষক দিবস

                        কলমে:-মনোয়ার হোসেন (মুন)

জ্ঞানদ্বীপৰ আঙনলৈ, শিক্ষক দিবসৰ শুভেচ্ছা,  
অভিনন্দন তোমালোকক, যাৰ পথৰ শিখা।  
শিক্ষাৰ সাগৰত, তুমি আছা দীপৰ দৰে,  
পাঠৰ সঁহাৰা, বাট বুজাই দিয়ে সঁচা পৰিসৰে।

প্ৰতি দিন তুমি, আনহাতৰ পৰা শিখাই,  
নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন সজাই।  
তোমাৰ কিতাপৰ পৃষ্ঠাত, জ্ঞানেৰে সাজি,  
জীৱনৰ সপোনলৈ, পথবোৰ চিনাকী।

শিক্ষাৰ মন্দিৰৰ, তুমি সঁচাৰ রাণী,  
তোমাৰ ত্যাগৰ মূল্য, ক’লৈ নাপাহৰি।  
শিক্ষক দিবসে, তোমাৰ সদা সন্মান,  
জ্ঞানদ্বীপৰ বাচলত, নুবুজো অবদান।

অধ্যয়নৰ আঙন, তুমি এনে চিৰঞ্জীৱী,  
তোমাৰ মমতা আৰু শিক্ষাৰ, চিৰকাল ধন্যবাদী।  
জ্ঞানদ্বীপৰ সকলোৰে পক্ষৰ পৰা,  
শিক্ষক দিবসৰ কুৰিও দিছোঁ কৃতজ্ঞতা।





১. কবিতার মূলভাব:-
**শিক্ষক দিবস উপলক্ষে "জ্ঞানদ্বীপ জাতীয় বিদ্যালয়" এর শিক্ষকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানানো। কবিতাটি শিক্ষকদের শিক্ষা, মমতা, এবং ত্যাগের প্রশংসা করে। এটি শিক্ষকদের ভূমিকার প্রশংসা করে, যেভাবে তারা ছাত্রদের সঠিক পথ দেখায় এবং ভবিষ্যৎ গঠনে সাহায্য করে। শিক্ষক দিবসে তাদের সেবা ও অবদানকে সম্মানিত করার জন্য কবিতাটি একটি সুন্দর এবং আন্তরিক প্রণাম।**

২. অসমীয়া কবিতাৰ মূলভাব:- 
**"শিক্ষক দিবস" উপলক্ষে "জ্ঞানদ্বীপ জাতীয় বিদ্যালয়"ৰ শিক্ষকৰ শিক্ষকবৃন্দক আন্তৰিক অভিনন্দন আৰু শুভেচ্ছা জ্ঞাপন কৰা হৈছে। শিক্ষকৰ ত্যাগ আৰু অৱদানৰ সন্মান জানাই, তেওঁলোকৰ জ্ঞান আৰু মমতাৰ বাবে কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ কৰা হৈছে। শিক্ষকেরা শিক্ষা দিয়া, নতুন আশা আৰু স্বপ্ন সজোৱা, আৰু জীৱনৰ পথ দেখুৱোৱা। শিক্ষক দিবসে, তেওঁলোকৰ মূল্যৱান ভূমিকা আৰু অবদানক স্বীকৃতি দিয়াৰ লগতে, অনন্ত ধন্যবাদ আৰু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কৰা হৈছে।

Wednesday, August 28, 2024

স্মৃতির স্কুল

স্মৃতির স্কুল
                           কলমে - মনোয়ার হোসেন ( মুন )

মনে পড়ে সেই প্রথম দিন,  
স্কুলে গিয়ে নতুন বন্ধু মিলন,  
মাথায় কল্পনার আভাস ছিল,  
স্কুলের প্রাঙ্গণ মনের মিলে মিলছিল।

স্কুলের সেই আনন্দময় দিন,  
বন্ধুদের সাথে গল্পের পর্ব,  
পড়ার মাঝে মিষ্টি আলাপ,  
শিক্ষকদের কড়া বকুনি, বেতের আঘাত।

মনে পড়ে টিফিনের মাঝে,  
মাঠে দৌড়, হাসির স্রোত,  
বাড়ির টিফিন ভাগাভাগি,  
বেঞ্চ বাজানো, মজার মোর।

স্মৃতির পথে হাঁটতে গিয়ে,  
ক্লাসরুম এখন নিস্তব্ধ,  
তবুও মনে পড়ে সেই দিন,  
যখন ছিল আনন্দের ঝলক বিনিময়।

Monday, July 22, 2024

সহায়তার প্রেরণা

        সহায়তার প্রেরণা

                                       কলমে:-মনোৱার হোসেন (মুন)

ছাত্র জীবন, এক দীর্ঘ যাত্রা,  
মুছে যাওয়া ক্লান্তির ফাঁকে ফাঁকে,  
আত্মবিশ্বাসের পথে চলার মানে,  
যেখানে সহায়তা এক অপরিহার্য অংশ।

গুরু, অভিভাবক, সহপাঠীর হাত,  
যারা হয় পাশে, দিনরাত,  
সাহসের আলো দেয় যে জাগিয়ে,  
মুখোমুখি মোকাবেলা হয়ে যায় সহজে।

যখন মনে হয় কল্পনা হারিয়ে,  
উল্টো পথে চাপে যন্ত্রণা,  
তাদের সমর্থনে মেলে আশা,  
সাফল্যের যাত্রা তখন হয়ে ওঠে প্রশান্তা।

তোমার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য,  
সহায়তা হবে অন্যতম শক্তি,  
এমনভাবে তুমি এগিয়ে চলো,  
মনের শিখা যেন পুড়ে ওঠে সাফল্যের আলোর পথে।


---

মূলভাব :- কবিতাটি বলে যে ছাত্রদের সফলতার জন্য আত্মবিশ্বাস এবং সহায়তার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষকদের, অভিভাবকদের এবং সহপাঠীদের সহানুভূতি ও সমর্থন ছাত্রদের পথচলাকে সহজ করে এবং তাদের সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।




Wednesday, July 10, 2024

পিরিতের সময়












                            Writer:-Monowar Hussain (Moon)

একটি সময়ে পিরিত জাগে 
 আরেকটি সময়ে পিরিত ভাগে,
কারণটা কি জানেন 
সেটাও খুঁজে পাবেন।

বয়স যখন হয়ে ওঠে বারো
পিরিতের হ'ৰমন হয়ে উঠে গাঢ়,
বারো যখন পিরিতের আলো 
রোজগারের রাস্তা তখুন কালো।

সময় তখুনি হয় এলোমেলো,
মনে রাখবেন যৌবন কাল গেলো,
রোজগারের রাস্তা যখন আসে
উজ্জ্বলতা তখন চোখে ভাসে ।

রোজগারের টাকা যখন,পকেটে জাগে
পিরিতের যৌবন তখন ভাগে,
বাস্তবতা আর একটি স্বপ্নর মধ্যে 
অনেক তফাৎ,ছেলেরা সেটা যানে ।

এটাতেই সব ছেলেরা ধন্য,
যৌবন কাল,একটুখানি মন্দ ,
সময় মতো পায়নি পিরিতের গন্ধ,
আমি একজন পিরিত হারা অন্ধ ।


Friday, May 31, 2024

জন্মস্থান


                





      জন্মস্থান
✍️মনোৱাৰ হোসেন (মুন)

এখানেই আমার জন্ম

        আমি যত্ন করে রাখব,

                         যদি মরতে হয়

                                তবুও ভুলবো না।

   

 যেখানে আমার জন্ম হয়েছিল

         সেটাই আমার গ্ৰামাঞ্চল  ,

                    আমি এটা দেখতে দেখতে বিরক্ত নাহলেও

                              দেখার কোন শেষ নেই।


 দক্ষিণে নয়ন থলি

            উত্তরে নানা বাড়ী আছে,

                      সূর্য পূর্ব দিকে উঠে

                                   পশ্চিমে ডুবে যায়।


 যদি বিদ্রোহ আসে 

           দেশের জন্য লড়বো,

                     জীবন চলে গেলেও, তবুও 

                                গ্ৰাম্যটি যেনো রয়ে যায়।


 আমি এখানে জন্মেছিলাম

         আমি এখানেই মরবো,

                 ঝড় হলেও

                     আমি আমার জন্মভূমি আমার হৃদয়ে রাখব।

In process

কষ্টের পথচলা

                            ✍︎ মনোৱার হোসেন ( মুন ) জীবনে কিছুই আমি পাইনি, কেবল কষ্ট আর টেনশন পেয়েছি, স্বপ্নগুলো ছিল যা সুন্দর, তবে জীবনে কে...