✒️ – মনোয়ার হোসেন (মুন)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার প্রিয় বৃষ্টি,
তোমার নামেই ভিজে যায়
আমার হৃদয়, আমার দৃষ্টি।
চটকে দিলে হঠাৎ একদিন,
হাতের মুঠোয় বৃষ্টির জল,
ধমক দিলাম মৃদু হেসে,
তুমি দিলে মিষ্টি কোল।
সেই থেকে তুমিই মন,
তুমিই হৃদয়-নাথ,
ভালোবাসার এই বাগানে
তুমিই যেন প্রার্থনার পথ।
দশটি বছর পেরিয়ে গেছে,
তবু হৃদয় একেই চায়,
তোমার জন্য খোলা রইলো
প্রেমের ঘরের সোনালি দ্বার।
ভুল হলে করো ক্ষমা,
এ যে আমার প্রথম পত্র,
তোমায় নিয়েই লিখছি আমি
হৃদয়ে বাঁধা প্রেমের অক্ষর।
তুমি যদি বাসো প্রেম,
তাহলে বলো কানে কানে—
"আই লাভ ইউ" এই বাক্যে
শান্তি নামে প্রাণের টানে।
না বাসলে নিও না কিছু,
উপহার বা এই চিঠি,
তোমার জন্য গাঁথা এতে
ভালোবাসার নিঃশ্বাস-লিপি।
যদি চাও মোবাইল নম্বর,
গেটের পাশে রেখো বক্স,
সেখানে লিখো তোমার ইচ্ছে,
আমি বুঝে যাবো একশত শতাংশ।
তোমার মুখে শুনতে চাই
ভালোবাসার সত্য কথা,
তুমি বলো—"আই লাভ ইউ",
আমি পাবো জীবনের বৃথা।
সারাংশ:
এই কবিতাটি একজন প্রেমিকের প্রথম প্রেমের অনুভূতি ও আবেগকে ঘিরে লেখা। কবি “বৃষ্টি”কে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। একদিন হঠাৎ হাতে ধরা বৃষ্টির জলে শুরু হয় তাদের সম্পর্কের সূচনা। সেই ছোট্ট মুহূর্ত থেকেই তার হৃদয়ে জন্ম নেয় গভীর প্রেম।
দশ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ভালোবাসা আজও অটুট। কবি তার প্রথম প্রেমপত্রে নিজের হৃদয়ের কথা অকপটে প্রকাশ করেছেন। তিনি ক্ষমা চেয়েছেন যদি কোনো ভুল হয় এবং আশা প্রকাশ করেছেন—প্রিয়জন যদি সত্যিই ভালোবাসে, তাহলে যেন কানে কানে “আই লাভ ইউ” বলে।
পত্রে এমনকি যোগাযোগের ইঙ্গিতও দিয়েছেন—যদি প্রিয়জন চায়, তবে গেটের পাশে একটি বক্সে তার ইচ্ছা জানাতে পারে। সবশেষে কবি একান্তভাবে শুনতে চান সেই প্রতীক্ষিত শব্দ—"আই লাভ ইউ", যা তার জীবনের অর্থ হয়ে উঠবে।
মূল ভাব:
প্রেম, অপেক্ষা, ভালোবাসার সরল প্রকাশ ও প্রথম চিঠির আবেগময় নিবেদন এই কবিতার মূল উপজীব্য।