স্মৃতির স্কুল

স্মৃতির স্কুল

                           কলমে - মনোয়ার হোসেন ( মুন )

মনে পড়ে সেই প্রথম দিন,  

স্কুলে গিয়ে নতুন বন্ধু মিলন,  

মাথায় কল্পনার আভাস ছিল,  

স্কুলের প্রাঙ্গণ মনের মিলে মিলছিল।

স্কুলের সেই আনন্দময় দিন,  

বন্ধুদের সাথে গল্পের পর্ব,  

পড়ার মাঝে মিষ্টি আলাপ,  

শিক্ষকদের কড়া বকুনি, বেতের আঘাত।

মনে পড়ে টিফিনের মাঝে,  

মাঠে দৌড়, হাসির স্রোত,  

বাড়ির টিফিন ভাগাভাগি,  

বেঞ্চ বাজানো, মজার মোর।

স্মৃতির পথে হাঁটতে গিয়ে,  

ক্লাসরুম এখন নিস্তব্ধ,  

তবুও মনে পড়ে সেই দিন,  

যখন ছিল আনন্দের ঝলক বিনিময়।

সহায়তার প্রেরণা

        সহায়তার প্রেরণা

                                       কলমে:-মনোৱার হোসেন (মুন)

ছাত্র জীবন, এক দীর্ঘ যাত্রা,  

মুছে যাওয়া ক্লান্তির ফাঁকে ফাঁকে,  

আত্মবিশ্বাসের পথে চলার মানে,  

যেখানে সহায়তা এক অপরিহার্য অংশ।

গুরু, অভিভাবক, সহপাঠীর হাত,  

যারা হয় পাশে, দিনরাত,  

সাহসের আলো দেয় যে জাগিয়ে,  

মুখোমুখি মোকাবেলা হয়ে যায় সহজে।

যখন মনে হয় কল্পনা হারিয়ে,  

উল্টো পথে চাপে যন্ত্রণা,  

তাদের সমর্থনে মেলে আশা,  

সাফল্যের যাত্রা তখন হয়ে ওঠে প্রশান্তা।

তোমার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য,  

সহায়তা হবে অন্যতম শক্তি,  

এমনভাবে তুমি এগিয়ে চলো,  

মনের শিখা যেন পুড়ে ওঠে সাফল্যের আলোর পথে।

---

মূলভাব :- কবিতাটি বলে যে ছাত্রদের সফলতার জন্য আত্মবিশ্বাস এবং সহায়তার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষকদের, অভিভাবকদের এবং সহপাঠীদের সহানুভূতি ও সমর্থন ছাত্রদের পথচলাকে সহজ করে এবং তাদের সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।

পিরিতের সময়

                            Writer:-Monowar Hussain (Moon)

একটি সময়ে পিরিত জাগে 

 আরেকটি সময়ে পিরিত ভাগে,

কারণটা কি জানেন 

সেটাও খুঁজে পাবেন।

বয়স যখন হয়ে ওঠে বারো

পিরিতের হ'ৰমন হয়ে উঠে গাঢ়,

বারো যখন পিরিতের আলো 

রোজগারের রাস্তা তখুন কালো।

সময় তখুনি হয় এলোমেলো,

মনে রাখবেন যৌবন কাল গেলো,

রোজগারের রাস্তা যখন আসে

উজ্জ্বলতা তখন চোখে ভাসে ।

রোজগারের টাকা যখন,পকেটে জাগে

পিরিতের যৌবন তখন ভাগে,

বাস্তবতা আর একটি স্বপ্নর মধ্যে 

অনেক তফাৎ,ছেলেরা সেটা যানে ।

এটাতেই সব ছেলেরা ধন্য,

যৌবন কাল,একটুখানি মন্দ ,

সময় মতো পায়নি পিরিতের গন্ধ,

আমি একজন পিরিত হারা অন্ধ ।

জন্মস্থান

                

      জন্মস্থান

✍️মনোৱাৰ হোসেন (মুন)

এখানেই আমার জন্ম

        আমি যত্ন করে রাখব,

                         যদি মরতে হয়

                                তবুও ভুলবো না।

   

 যেখানে আমার জন্ম হয়েছিল

         সেটাই আমার গ্ৰামাঞ্চল  ,

                    আমি এটা দেখতে দেখতে বিরক্ত নাহলেও

                              দেখার কোন শেষ নেই।

 দক্ষিণে নয়ন থলি

            উত্তরে নানা বাড়ী আছে,

                      সূর্য পূর্ব দিকে উঠে

                                   পশ্চিমে ডুবে যায়।

 যদি বিদ্রোহ আসে 

           দেশের জন্য লড়বো,

                     জীবন চলে গেলেও, তবুও 

                                গ্ৰাম্যটি যেনো রয়ে যায়।

 আমি এখানে জন্মেছিলাম

         আমি এখানেই মরবো,

                 ঝড় হলেও

                     আমি আমার জন্মভূমি আমার হৃদয়ে রাখব।

বিশ্বাস

            বিশ্বাস                        ✍️মনোৱাৰ হোসেন (মুন)

জনে যোৱাৰ সি যাবই, 

যিমানেই তুমি তাইক ভাল নোপোৱা কিয়। 

তোমাৰ অনুভৱৰ মূল্য , 

দিব নোৱাৰিব কাৰণেই সি যাব।

কি কৰিবা তুমি? বন্দী কৰিবা , 

বুজিব দিবা তাইক তুমি কিমান ভালপোৱা 

যদি বুজি নাপায়,জোৰ কৰিবা?

 লাভ নাই একো, তুমি যিয়ে কৰা সি যাবেই।

হ'ব পাৰে তোমাৰ ভালপোৱায় 

কিছু অভাৱ আছিল সেয়ে তাই

 বাৰে বাৰ তোমাৰ পৰা বহু ভাবে

দূৰত এৰি গুছি যাব বিচাৰিছে । 

যাব খুজিছে, যাব দিয়া।

এৰি দিয়া তাইক মুক্ত আকাশত

তেইক নিজৰ মতে জীয়াই থাকিবলৈ দিয়ক।

 ভালপোৱাতো নেকি?তেতিয়া,

 দূৰৰ পৰাই ভালপোৱা।

 আৰু নিজৰ উপৰত অলপ বিশ্বাস ৰাখা ।

আমাৰ হৃদয়

আমাৰ হৃদয়

                  

                         ✍️মনোৱাৰ হোসেন (মুন)

আমাৰ হৃদয়েৰ মাজে আছে
বুকু বৰা আদৰ, ভালোবাসা
ৰেখেছি শুধু তোমাৰ জন্য 

আমাৰ দুই নয়নেৰ মাজে আছে
তোমাৰ হাঁসিৰ ছবি,
কোমল হাতেৰ ছট্ট একটি ছোৱা,
মনে পৰে অনন্ত জীৱন,চিরতরে

আমাৰ হৃদয়ে ভেদে ৰেখেছি
তোমাৰ প্ৰেমৰ আলিঙ্গন
উৎসর্গ কৰব হৃদয়ৰ ভাওনা
থাকবে সেখানে নিৰ্মল ভালোবাসা |

স্কুল জীৱন বিদয়

বয়স যেতিয়া আছিল পাঁচ

তেতিয়া মই ভৰ্তি হৈছিলো স্কুলত ।

অচেনা ঠাই দেখি লাগিছিল বহু ভয়,

সেয়ে বহু সময় ধৰি কান্দিছিলো,সেইদিনা মন খুলি।

প্ৰথম দিনটো কাটিছিল কোনো মতে,

অলপো ভাল লগা নাছিল,আমাৰ নতুন স্কুলত।

মনত আছে 'মাকে' কৈছিল মোক;

'বোকা! ইয়াতেই তো শিকিবি কোনটো ঠিক আৰু কোনটো ভুল।

তেতিয়া আৰম্ভণি হৈছিল,মোৰ শিক্ষা জীৱন;

দেউতাই কৈছিল; হ'ব লাগিব বহু! ডাঙৰ।

দুঃখৰ সময়ত কোনেও নাথাকে লগত;

সেয়ে,নিজৰ জীৱনৰ ডাঙৰ যুদ্ধটো, এতিয়া নিজেই যুজিব লাগিব।

পৰিচয় হৈছিল আৰু এটা নতুন বস্তুৰ লগত

সেয়া আছিল 'ঘৰৰ কাম' ।

নকৰিলেই, শিক্ষক মহাশয়ে খং কৰি কৈছিল;

এবাৰ তোক শাস্তি দিম;চিধা কৰি হাত মেল,আড্ডাবাজ!

দেখি-দেখি কাটিল দিনবোৰ;

হলো মই আৰু বহু ডাঙৰ।

মন দি পঢ়া-শুনা কৰিবলৈ তো সকলোৱে কয়;

এতিয়া তাৰ লগতে; ভৱিষ্যতৰ চিন্তাও আৰম্ভণি কৰিব লাগে।

মোৰ স্কুল জীৱন,আজিয়ে শেষ হ'ব ধৰিছে;

মোৰ মৰমৰ স্কুলৰ পৰা,আজি মই বিদয় নিম,

স্কুলৰ প্ৰথম দিনটো মই বহু কান্দিছিলো;

আজি বিদয়ৰ দিনও মই আকৌ কান্দিছো,

এয়া হ'ব পাৰে আ-জীৱন মনত ৰাখিব লগা মৰম।।

                                        

                                              লেখক:- মনোৱাৰ হোসেন (মুন)